পলিটির কন্সেপ্ট – রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির কাজের ভূমিকা – Indian Polity – W.B.C.S. Exam.
By Dipayan Ganguly, WBCS Gr A
সংবিধানে রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির কাজের ভূমিকা লেখা আছে। তিনটে ধারা সম্পর্কে অবগত হলে আমরা বিষয়টা বুঝে নিতে পারি।Continue Reading পলিটির কন্সেপ্ট – রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির কাজের ভূমিকা – Indian Polity – W.B.C.S. Exam.
62(1) অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির 5 বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আরেকজন রাষ্ট্রপতির জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। অর্থাৎ 15 আগস্ট যদি মেয়াদ শেষ হয় তাহলে 14 ই আগস্টের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
62(2) — রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে, গলাধাক্কা খেলে অথবা তাঁর পঞ্চত্ব প্রাপ্তি ঘটলে, পরে যিনি নির্বাচিত হয়ে আসবেন, উনি আগেরজনের বিদায় অথবা পঞ্চত্ব প্রাপ্তির দিন থেকে পাঁচ বছর অবধি পদে বহাল থাকবেন।
65(1) —রাষ্ট্রপতির পঞ্চত্ব প্রাপ্তি ঘটলে অথবা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়ানো হলে নতুন রাষ্ট্রপতি না আসা অবধি উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির কাজ করবেন
65(2) — রাষ্ট্রপতি অসুস্থ হলে অথবা করোনাতে আক্রান্ত হয়ে ঘরে বসে থাকলে উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির কাজ করবেন
65(3) — রাষ্ট্রপতির কাজ করলে উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির বেতনের সমান বেতন পাবেন
68(1) — উপরাষ্ট্রপতির 5 বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আরেকজন উপরাষ্ট্রপতির জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। অর্থাৎ 15 আগস্ট যদি মেয়াদ শেষ হয় তাহলে 14 ই আগস্টের মধ্যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
68(2) — উপরাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে , গলাধাক্কা খেলে অথবা তাঁর পঞ্চত্ব প্রাপ্তি ঘটলে, পরে যিনি নির্বাচিত হয়ে আসবেন, উনি আগেরজনের বিদায় অথবা পঞ্চত্ব প্রাপ্তির দিন থেকে পাঁচ বছর অবধি পদে বহাল থাকবেন।
অর্থাৎ 62 নম্বর ধারাতে যা যা আছে, সেগুলোই 68 তে আছে। শুধু উপ টা বসিয়ে নাও রাষ্ট্রপতির আগে
24) ইকনমির কন্সেপ্ট- বাজেট ঘাটতি আর ফিস্কাল ঘাটতির মধ্যে তফাৎ কোথায়?
সংসারে আয়ের চাইতে ব্যয় বেশি হলেই ঘাটতি হয়। সরকারের ক্ষেত্রেও তাই। সরকারের Receipt গুলোর থেকে Expenditure গুলো যখন বেড়ে যায়, তখন ঘাটতি দেখা যায়।
এগুলো ভালোভাবে বুঝতে গেলে আমাদের চারটে জিনিস বুঝতে হবে—
Revenue Receipts -(১)
Capital Receipts- (২)
Revenue Expenditure -(৩)
Capital Expenditure -(৪)
Revenue Receipts কাকে বলে?
Revenue receipts হল সেই সমস্ত Receipts যা পেতে সরকারের asset ও কমে যায় না এবং liability ও বেড়ে যায় না। এ আবার কেমন কথা?
মানে তুমি তোমার asset বিক্রি করে টাকা পেয়ে নিজেকে আত্মনির্ভর বলতে পারবে না, অর্থাৎ সরকারি সম্পত্তি বা সরকারি কোম্পানিগুলো আম্বানি আদানিকে বেচে যে টাকা পেলে, সেটাকে Revenue receipts বলতে পারবে না। আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ভয় দেখিয়ে অথবা আম আদমির থেকে টাকা ধার করে পকেট ভরলেও সেটাকে Revenue receipts বলা যাবে না, কারণ ধার করলে তো liability বাড়ে।
তাহলে Revenue receipts টা আদতে কি? ওই যে পাবলিকের ঘাড় ভেঙে কর আদায় করে যেটা পেলে, অথবা রাজ্য সরকারদের টাকা ধার দিয়ে যে সুদটা পেলে অথবা সরকারি কোম্পানিগুলো ভুল করে লাভের মুখ দেখলে যে লভ্যাংশটা তুমি ছিনিয়ে নিলে।
তাহলে Capital Receipts টা কি?
এটা হল সেই সব Receipts যা পেতে asset কমে যায় এবং liability বেড়ে যায়। মানে তুমি disinvestment করে সরকারি কোম্পানির পিণ্ডি চটকে দিলে, এতে তুমি কাঁচা টাকা হাতে পেলে বটে, কিন্তু এতে তোমার asset কমে গেল। আবার মনে কর কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলোকে লোন দিয়েছিল, সেগুলো এবার ফেরৎ পাচ্ছে। লোন দেওয়ার সময় balance sheet এ asset এর ঘরে এটাকে দেখিয়েছিলে, এখন দেনা শোধ হতেই সেই asset কেন্দ্রের balance sheet থেকে হাওয়া হয়ে গেল। কাজেই এখানেও asset কমল। আবার ধর কেন্দ্র সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অথবা বিদেশ থেকে টাকা ধার করে বসল। তাহলে এতে টাকা হাতে এলেও liability বাড়ল। অতএব এটাও এক প্রকার Capital Receipts হল।
তার মানে Capital Receipts এর দুটো অংশ-
লোন recovery – (৫) &
বাজার থেকে ধার এবং অন্য liability – (৬)
গাণিতিক ভাবে, (২) = (৫)+(৬)
Receipts তো গেল, এবারে Revenue Expenditure টা কি?
Revenue Receipts থেকে যে খরচটা করায় সেটাই হল Revenue Expenditure, অর্থাৎ যাতে assets তৈরি হয় না। পাতি বাংলায় এটা হল সরকারের সংসার খরচ। অর্থাৎ মাইনে পেনশন দেওয়া, ভর্তুকি দেওয়া, রাজ্যদের grants দেওয়া ইত্যাদি ।
তাহলে Capital Expenditure কি?
Capital asset তৈরি করতে যে খরচটা হয় সেটাই হল Capital Expenditure । অর্থাৎ যে খাতে খরচ করলে asset বাড়বে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, বাঁধ অর্থাৎ infrastructure তৈরিতে খরচ, রাজ্যগুলোকে asset তৈরি করার জন্য ধার দেওয়া হল Capital Expenditure । এমন কি, প্রতিরক্ষা খাতের খরচও হল Capital Expenditure, এখানে infrastructure সংক্রান্ত asset তৈরি না হলেও অন্য দেশকে ভয় দেখানো তো যায়।
সবই তো বুঝলাম, তাহলে বাজেট ঘাটতিটা কি?
এটা হল Total receipts- Total expenditure
অর্থাৎ মোট আয় – মোট ব্যয়
এবারে Total receipts হল (১) + (২) অর্থাৎ Revenue Receipts
+
Capital Receipts
এবং Total expenditure হল (৩) + (৪) অর্থাৎ
Revenue Expenditure
+
Capital Expenditure
ভেঙে দাঁড়াল, [(১)+(২)] – [(৩)+(৪)]
এভাবেও লিখতে পারি
[(১)-(৩)] + [(২)-(৪)], অর্থাৎ revenue account ঘাটতি+ capital account ঘাটতি
তাহলে ফিস্কাল ঘাটতিটা কি?
সরকারের বাজেট ঘাটতির মধ্যে তো বাজার থেকে ধার এবং অন্য liability টাও ধরা থাকে। কোথায়? Capital Receipts এর মধ্যে। এই অংশটা বাজেট ঘাটতি থেকে বাদ দিলে আমরা ফিস্কাল ঘাটতিটা পেয়ে যাব। অর্থাৎ ধার দেনা বাদ দিয়ে সংসার চালাতে গেলে সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে কতটা প্রকৃত ঘাটতি রয়েছে। এটাই হল ফিস্কাল ঘাটতি। এটা বুঝিয়ে দেয় সরকারকে সংসার চালাতে কতটা কর পাবলিকের ঘাড়ে চাপিয়ে আয় বাড়াতে হবে।
আমরা বাজেট ঘাটতির সময় দেখেছিলাম যে,
বাজেট ঘাটতি = [(১)+ (২)] – [(৩)+(৪)]
যেহেতু (২) = (৫)+(৬),
কাজেই এখানে (৬) টা বাদ দিলেই ফিস্কাল ঘাটতি পেয়ে যাব।
অর্থাৎ ফিস্কাল ঘাটতি = [(১)+ (৫)] – [(৩)+(৪)]
Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website