বিপর্যয়ের মূল উৎস একটিই, গ্লোবাল ওয়ার্মিং – Bengali Essay For W.B.C.S. Examination.
বিপর্যয়ের মূল উৎস একটিই, গ্লোবাল ওয়ার্মিং – WBCS পরীক্ষার জন্য বাংলা প্রবন্ধ ।
Essay writing in W.B.C.S exam is important because it is a reflection of your deepest thoughts and ideas.It should be known how to write a good essay and the important points must be remembered while writing an essay.Introduction should catch the attention of the reader. It can begin with a quotation, a question, an exclamatory mark. Each individual paragraph in the body must convey a single idea only. The ending should be lovely as well as balanced. Ending with a memorable quote or question or providing it an interesting twist would also be a excellent idea.This is not a part of W.B.C.S Preliminary Exam.Following previous years question papers helps in understanding the types of essay’s that generally come in the W.B.C.S Mains exam.কয়েক দিনের প্রবল টানা বৃষ্টি কেরালাকে বিধ্বস্ত করে গিয়েছে। দুর্যোগে মারা গিয়েছেন ৪৮৩ জন, হাজার হাজার বাড়ি ডুবে গিয়েছে, ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে, রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর বিপর্যস্ত। এই বিপর্যয়ের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তা অকল্পনীয়। প্রাথমিক হিসেবে দেখা গিয়েছে অর্থমূল্যের হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার। হতাহতের পরিমাণ সীমিত রাখা গিয়েছে স্থানীয় মানুষের ঐক্যবদ্ধ ভাবে ত্রাণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার ফলে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা ট্রাকে চড়িয়ে তাঁদের নৌকো নিয়ে গিয়েছেন বানভাসি অঞ্চলে এবং প্রায় এক লক্ষ মানুষকে সেই সব নৌকোয় চড়িয়ে উঁচু বাড়ির ছাদে পৌঁছে দিয়েছেন। অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন সেনাকর্মীরাও, যদিও বিপর্যয়ের মাত্রার তুলনায় যে পরিমাণ সেনাকর্মীকে ত্রাণের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল তা যথেষ্ট ছিল না। অভূতপূর্ব ভাবে সাধারণ মানুষ বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে স্কুলে, গির্জায়, মসজিদে, মন্দিরে খোলা ত্রাণশিবিরগুলিকে সাহায্য করেছেন।Continue Reading বিপর্যয়ের মূল উৎস একটিই, গ্লোবাল ওয়ার্মিং – Bengali Essay For W.B.C.S. Examination.
এই বিপর্যয় কেরালার অর্থনীতির বিন্যাসটাকেই দুর্বল করে দিয়ে গেছে, যে অর্থনৈতিক বিন্যাসের মাধ্যমে এই রাজ্য শিক্ষাক্ষেত্রে বিপুল ব্যয় করে, এবং যার মাধ্যমে রাজ্যের বহু-প্রশংসিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং একটা মোটামুটি সামাজিক সাম্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে । অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যে সাহায্য পাওয়া গিয়েছে তা চাহিদার তুলনায় যৎসামান্য। আর যা মর্মান্তিক তা হল, কেন্দ্রে যে রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় রয়েছে, তার মধ্য থেকে এমন প্রচারও চালানো হয়েছে যে এই বিপর্যয় ঈশ্বরের অভিশাপ, এবং কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করার ক্ষেত্রে মানুষকে নিরুৎসাহ করা হয়েছে।
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনধারায় ফেরার চেষ্টা করছে রাজ্য। কিন্তু কথা হল, কেরালার এই বিপর্যয় মানুষের তৈরি। ২০০৭ সালেই ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) তার রিপোর্টে এই বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।
ঠিক যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল আইপিসিসি-র রিপোর্টে, গড়ে যে ক’দিন বৃষ্টি হয় স্বাভাবিক বর্ষায়, তার থেকে কম সংখ্যক দিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু ধারাপাতের পরিমাণ ছিল গড়ের থেকে অনেক বেশি। রাজ্যের ৩৮৮৫২ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবিরত বৃষ্টিপাত হয় ৯ থেকে ১৫ অগস্ট। অন্যান্য বছরের এই সময়ের তুলনায় এবারের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৫৭ শতাংশ বেশি। ১ জুন থেকে বর্ষা শুরু হয়, সে বর্ষাও ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৪১ শতাংশ বৃষ্টি। ফলে মাটি ইতিমধ্যেই বর্ষায় ভিজে ছিল, তার ওপর হতে থাকে অবিরত বৃষ্টিপাত। জলাশয়গুলি যে পরিমাণ বয়ে আসা জল ধরে রাখতে সক্ষম, তা-ও ছাপিয়ে গিয়েছিল।
১৫ অগস্ট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৩০ মিলিমিটার। পূর্ববর্তী বেশ কয়েক বছরের পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে ওই বিশেষ তারিখের বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ থাকে ১০ মিলিমিটার। ফলত সমতল অঞ্চলে দেখা গেল অভূতপূর্ব বন্যা এবং পাহাড়াঞ্চলে ধস। এ অঞ্চলে আগে কখনও এমন বিধ্বংসী বিপর্যয়ে এত মানুষের মৃত্যু দেখা যায়নি। ১৯২৪ সালেও কেরালায় বিধ্বংসী বন্যা হয়েছিল, কিন্তু এবারের বিপর্যয় তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এই বিপর্যয় তৈরির ক্ষেত্রে কেরালার না তো বিশেষ কোনও ভূমিকা ছিল, না সে রাজ্য এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ছিল।
তা হলে এই মহাবিপর্যয় ঘটল কেন? অরণ্য হ্রাসের জন্য? কেরালায় গাছ ও অরণ্যের আচ্ছাদনের মোট ক্ষেত্রফল ২৩২৮০ বর্গ কিলোমিটার, যা কেরালার ভূতলের ৬০ শতাংশ, এ ক্ষেত্রে জাতীয় গড় হল ২১.৫৪ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান একেবারে সাম্প্রতিক — ২০১৭-র ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-র রিপোর্ট থেকে নেওয়া। এই রিপোর্ট এও জানাচ্ছে যে কেরালায় অরণ্য-পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৪৩ বর্গকিলোমিটার, যদিও তার প্রধান কারণ বাণিজ্যিক অরণ্যায়ন। যদি জলাশয়ের ক্ষেত্রফলের হিসেব দেখা যায়, তা হলে দেখা যাবে যে ২০০৫ থেকে ২০১৫র মধ্যে এ রাজ্যে জলাশয়ের পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে ৭১ বর্গ কিলোমিটার। স্পষ্টতই রাজ্যের পরিবেশে এমন কোনও রদবদল ঘটেনি যা দিয়ে এই বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
কিছু কিছু অঞ্চলে পাথর খাদান গড়ে উঠেছে। আমি বরাবর তার বিরোধিতা করে এসেছি, কিন্তু শুধু সেগুলিকে এই মহাবিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা যায় না। যে সাংঘাতিক পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় তার ফলে সব কিছুই ভেসে গিয়েছিল, পাহাড়াঞ্চলে ধস নামিয়ে ছিল। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এ ভাবেই কাজ করে — সকলের অলক্ষ্য। আর অনেকেই সেই আসল কারণটা ভুলে বিপর্যয়ের স্থানীয় কারণ খুঁজতে থাকেন।
আইপিসিসি তার রিপোর্টে জানিয়ে দিয়েছিল যে এক শতক অন্তর অন্তর যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা চার থেকে পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হতে চলেছে। বর্তমানে পৃথিবীর পরিবেশে উষ্ণায়ণকারী গ্যাসের হার দাঁড়িয়েছে ৪০০ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম)। বিগত ৩০ লক্ষ বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি। কাজেই আইপিসিসি-র ওই আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হতে বাধ্য। কেরালা তার আর একটি উদাহরণ।
সারা বিশ্বে চার কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ বসবাস করেন নদীজাত বন্যার আশঙ্কাপূর্ণ অঞ্চলে, আর তাদের অর্ধেকের বসবাস এশিয়াতে। অথচ এই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির পরিস্থিতি তৈরির পিছনে তাদের কোনও হাতই থাকে না। ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের একটি গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাথাপিছু দূষিত গ্যাস নিষ্কাশনের পরিমাণ ছিল ১৬.৪ মেট্রিক টন। ভারতের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ১.৬ মেট্রিক টন। কার্বন নিষ্কাশনের নিরিখে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলি ভারতেরই সমান, কিংবা কিছুটা কম। আর এ হিসেবের মধ্যে তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অতীতে যে বিপুল কার্বন নিষ্কাশন করেছে তা ধরাই হয়নি। যাবতীয় শিল্প-ভিত্তিক অর্থনীতির ক্ষেত্রেই একই কথা বলা যায়। অথচ প্যারিস চুক্তি এই আবহাওয়া পরিবর্তন বন্ধ করার ক্ষেত্রে মৌলিক ভাবে দুর্বল, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেটাকেও এখন বেলাইন করে দিতে চাইছে।
এই পরিস্থিতিতে সমগ্র বিশ্বের — বিশেষ করে উন্নত দেশগুলির উচিত কেরালা যাতে ডুবে না যায়, তা সুনিশ্চিত করা। কারণ কেরালার এই বিপর্যয়ের পিছনে স্পষ্টতই রয়েছে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ছোবল, যার জন্য কোনও পরিস্থিতিতেই কেরালার মানুষকে দায়ী করা যায় না। এবং উন্নত দুনিয়ার সে দায়িত্ব পালন করা উচিত, ‘যে দূষণ ঘটাচ্ছে সেই ক্ষতির ব্যয়ভার বহন করবে’, পরিবেশ চুক্তির পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘দ্য পলিউটার পেয়েজ’, এই নীতির ভিত্তিতে। এখানে প্রযুক্ত হওয়া উচিত আর একটি নীতিও ‘কমন বাট ডিফারেনশিয়াল রেসপন্সিবিলিটি’, অর্থাৎ যৌথ কিন্তু পৃথক পৃথক দায়িত্বভার। আন্তর্জাতিক আইনেই এই নীতিগুলি সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে, কাজেই সারা বিশ্বেরই তা মেনে চলা কর্তব্য। রাষ্ট্রপুঞ্জের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ নামের একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তিটির লক্ষ্য হল বায়ুমন্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের কেন্দ্রীভূত হওয়া এমন মাত্রায় সীমিত রাখা যাতে বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র ইত্যাদির উপর মানুষের ক্রিয়াকাণ্ডের ফলে ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করা যায়। এই ফ্রেমওয়ার্কের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ দাঁড়াবে ভয়ঙ্কর ৫৫ গিগাটনে। মুশকিল হল এই চুক্তি যদিও কোন দেশ কী পরিমাণ গ্যাস নিষ্কাশন করতে পারে তার সীমা বেঁধে দেয়, কিন্তু দেশগুলিকে সেই সীমা মেনে চলতে বাধ্য করতে পারে না। সেটা নির্ভর করে প্রতিটি দেশের নিজের দৃষ্টিভঙ্গির উপর। কাজেই এই মূহূর্তে উন্নয়নশীল দেশগুলির কর্তব্য হল গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে যে ভাবে কেরালা বিধ্বস্ত হল, সারা বিশ্ব তার প্রতিক্রিয়ায় কী পদক্ষেপ করে, তার উপর নজর রাখা।
Our own publications are available at our webstore (click here).
For Guidance of WBCS (Exe.) Etc. Preliminary , Main Exam and Interview, Study Mat, Mock Test, Guided by WBCS Gr A Officers , Online and Classroom, Call 9674493673, or mail us at – mailus@wbcsmadeeasy.in
Visit our you tube channel WBCSMadeEasy™ You tube Channel
Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website