• Home /Exam Details (QP Included) / Main Exam / Compulsory Papers / Paper V : Constitution of India & Indian Economy / সহজ ভাষায় ইকনমির কন্সেপ্ট – Convertibility Of Rupee – For W.B.C.S. Examination.
  • সহজ ভাষায় ইকনমির কন্সেপ্ট – Convertibility Of Rupee – For W.B.C.S. Examination.

    By Dipayan Ganguly, WBCS Gr A

    Convertibility of Rupee

    Convert মানে কি? রুপান্তর করা। কিসের রুপান্তর? টাকার। টাকার আবার কি রকম রুপান্তর হয়? কেন হবে না? দেশ বিদেশের মধ্যে যদি জিনিসপত্রের লেনদেন হয় তাহলে টাকার হবে না কেন?
    অর্থাৎ প্রতিটি দেশের মুদ্রা একে অপরের সাপেক্ষে কতটা সস্তা অথবা দামি হচ্ছে সেটাই এখানে বোঝার বিষয়।Continue Reading সহজ ভাষায় ইকনমির কন্সেপ্ট – Convertibility Of Rupee – For W.B.C.S. Examination.
    তাহলে প্রশ্ন, অন্য দেশের মুদ্রার সাপেক্ষে টাকার কেনাবেচা কি মুড়ি মুড়কির মতন হয় না কি? না। এমনিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আইন কানুন অনুযায়ী ব্যাঙ্কগুলি তাদের সম্পূর্ণ টাকা বাজারে খাটাতে পারে না, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে টাকার কেনাবেচা অত সহজ হবে না কি।
    দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে Foreign Exchange Regulation Act বা FERA আইনের মাধ্যমে এটা বলা হয় যে কেউ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমতি ছাড়া বিদেশী মুদ্রা রাখতে পারবে না। ১৯৭৩ এ এই আইনের কিঞ্চিৎ সংশোধন হলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক খুব কড়াকড়ি করে, যেমন আজকাল পুরোনো ৫০০/১০০০ এর নোট রাখলেই জেল – এই রকম লেভেলের কড়াকড়ি ছিল। বিদেশে কোন ভারতীয় থাকলে সে নিজের মর্জি মতন ডলার পাউন্ড পাঠাতে পারত না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্থির করত টাকার বিনিময়ে ডলার কিনলে কত দামে কিনতে হবে অথবা ডলার বেচলে কত টাকায় বেচতে পারবে। অর্থাৎ বিশ্ব বাজারে টাকা ছিল inconvertible । বাজারের চাহিদা যোগান অনুযায়ী টাকার দাম স্থির করা হত না। এর পরে এই আইন পাল্টে এল FEMA
    ১৯৯১ এ যখন আমাদের একেবারে দৈন্যদশা , তখন LERMS বা Liberalized Exchange Rate Management System এর আইন তৈরি হয়। এতে বলা হয় যে ব্যবসায়ীরা বৈদেশিক ব্যবসা করে যে ডলার আনবে বা টাকা ভাঙিয়ে ডলার বানাবে, সেটার ৪০ শতাংশ হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্থির করা দামে এবং বাকি ৬০ শতাংশ হবে বিশ্ব বাজারের সূচক মেনে। তার মানে দ্বৈত শাসনব্যবস্থা আর কি। ঠেকায় পড়লে বাঘেও ঘাস খায় , ওটাই হল। অর্থাৎ Current Account এ তখন
    partial convertibility এর অনুমতি দেওয়া হল। Current Account কেন বললাম। ওই যে আগেই বলেছি, বৈদেশিক কেনাবেচার সময় হাতে হাতে বা নগদে ভাঙানো। আর হাতে হাতে মানেই Current Account এর ব্যাপার। তবে এখানে তেল, সার বা প্রয়োজনীয় ওষুধের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য ছিল না। কেন? এটা তোমরা মাথা খাটিয়ে বল দেখি।
    ১৯৯৪ সালে এটা তুলে দেওয়া হয় এবং বলা হয় যে টাকার full convertibility করা যাবে
    Current Account এ। এর মানে সরকার ধীরে ধীরে রাশ আলগা করতে শুরু করল।
    Capital Account এ Convertibility
    Tarapore Committee বলে একটা কমিটি গঠন করা হল Capital Account এ টাকাকে খোলাখুলি ছেড়ে দেওয়া যায় কি না সেটা ভেবে দেখার জন্য।
    এটা চালু হলে যে কেউ অনায়েসে তার Asset গুলোর মালিকানা এদেশ থেকে বিদেশে হস্তান্তর করে দিতে পারবে বাজারে মুদ্রার দর অনুযায়ী। কারন আগের পোস্টে বলেছি Capital Account এর হিসাব মানে Asset হস্তান্তরের হিসাব, যা হাতে হাতে হয় না। এর মানে কোনো ভারতীয় বেগতিক দেখে এদেশে তার ঘটি বাটি বেচে অন্য দেশ থেকে তার টাকাটা পেয়ে যাবে। মানে বিজয় মালিয়াদের মতন লোকের সুবিধা হবে। আবার বিদেশীরা যখন তখন ভারতীয় সম্পত্তি বেচে পালাতে পারবে। কাজেই এই কমিটি মত দিল যে পুরোপুরি খোলামেলা ভাবে টাকাকে বিশ্ব বাজারে ছাড়া যাবে না Capital Account এর খাতায়। পরে অবশ্য Partial convertibility এর অনুমতি দেওয়া হয় Capital Account এ। না হলে বিদেশীরা তো লগ্নী করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
    হয়তো ভবিষ্যতে Full convertibility হবে Capital Account এ। বিশ্বায়নের যুগে এটা করা জরুরী। তবে তার জন্য আমাদের Current Account এর ঘাটতি কমাতে হবে। দেখতে হবে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কি রকম থাকছে। তবেই হয়তো এটা সম্ভব হবে।
     
     

    Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

     WBCS Foundation Course Classroom Online 2024 2025 WBCS Preliminary Exam Mock Test WBCS Main Exam Mock Test WBCS Main Language Bengali English Nepali Hindi Descriptive Paper