• Home /Exam Details (QP Included) / Indian Polity Fundamental Rights-স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার (ধারা সংখ্যা ১৯- ২২)
  • Indian Polity Fundamental Rights-স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার (ধারা সংখ্যা ১৯- ২২)

    By Sri Dipayan Ganguly, WBCS Gr A

    সংবিধান যদি সাম্যের অধিকার দিয়ে থাকে, তাহলে স্বাধীনতার অধিকারও দেবে বৈকি। ওই যে ফরাসী বিপ্লবে ঘোষণা হয়েছিল— Liberty, Equality, Fraternity
    তা বাপু Fraternity এর জন্য কি এমন অধিকার তৈরি করা যায় তা নিয়ে সংবিধানের পিতা মাতা কাকারা কিছু বলে যাননি। কাজেই আপাতত স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারটি দেখা যাক। Continue Reading Indian Polity Fundamental Rights-স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার (ধারা সংখ্যা ১৯- ২২)

    ধারা ১৯(১ক)— Right to freedom of speech and expression – অর্থাৎ নিজের মতামত ব্যক্ত করার অধিকার

    ধারা ১৯(১খ)— Freedom to assemble peacefully without arms- অর্থাৎ অস্ত্রশস্ত্র না নিয়ে মিটিং মিছিল করা

    ধারা ১৯(১গ)— Freedom to form associations or unions – অর্থাৎ দলবাজি রংবাজি করার অধিকার

    ধারা ১৯(১ঘ)— Freedom to move freely throughout the territory of India- অর্থাৎ দেশের ভেতরে যেখানে সেখানে বিনা পাসপোর্ট ভিসায় ঘুরে বেড়ানো 

    ধারা ১৯(১ঙ)— Freedom to reside and settle in any part of the territory of India- অর্থাৎ দেশের ভেতরে যেখানে খুশি বাড়ি তৈরি করে বসবাস করা

    ধারা ১৯(১চ)— আপাতত বাদ

    ধারা ১৯(১ছ)— Freedom to practice any profession or to carry on any occupation, trade or business – অর্থাৎ নিজের ইচ্ছামত যা খুশি চাকরি বা ব্যবসা করতে পার। মানে Our Business is our Business, none of your Business

    সে না হয় বললাম। তবে রাষ্ট্র এই অধিকারগুলি বিনামূল্যে দেয়নি। এর ওপর ট্যাক্স ও চাপিয়েছে। সেগুলি কি?

    যেমন ১৯(১ক) ধারায় ইতি গজ এর মত সংবাদমাধ্যমের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। তবে ১৯(২) ধারায় এটি বলা রয়েছে যে যা খুশি লিখে দিলেই চলবে না। তুমি জম্মু ও কাশ্মীরে নিজের ইচ্ছামত ঘুরতে বেড়াতে পারবে না বা সেখানে জমি কিনতে পারবে না।  দেশের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও নিরাপত্তার খাতিরে এই প্রত্যেকটি ধারার ওপর হালকা নিষেধাজ্ঞার ট্যাক্স চাপানো হয়েছে। মূল কথা — your Business is not my business, but it is the State’s business to mind your business

    Right to Information (RTI) — সংবিধানের ১৯(১ক) ধারায় তথ্যের অধিকারের কথাটি অন্তর্নিহিত রয়েছে। অর্থাৎ আমি কি করছি সেটি যদি সরকার জানতে পারে ,তাহলে সরকার কিভাবে কাজ করছে সেটি আমিও জানতে পারি। 

    তাহলে কি দাঁড়াল— My business is not your Business, but the State’s business is our business

    ধারা ২০(১)— Protection from ex post facto legislation- আইনসভা আজ কোনো আইন তৈরি করলে সেটি অতীতের কোনো দিন থেকে কার্যকরী করা যাবে না। ধর আইনসভা একটি আইন তৈরি করল যে ব্রেকআপ করার অপরাধে সবার একমাসের জেল আর তিন দিনের ফাঁসি হবে। এর মানে এই নয় যে যারা একবছর আগে ব্রেকআপ করেছিল তাদেরও জেল হবে। 

    ২০(২)— Double jeopardy- কোনো ব্যক্তিকে এক অপরাধের জন্য একবারই সাজা দেওয়া যাবে। অর্থাৎ একবার ব্রেকআপ করলে একবারই সাজা পাবে। 

    ২০(৩)— No person can be forced to become a witness in his own case- কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে জোর করে অপরাধ স্বীকার করানো যাবে না। ধর পুলিসের লাঠির ঘা খেয়ে তুমি কবুল করলে যে ব্রেকআপ করেছ। এটির জন্য কোনো সাজা হবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত কোর্টে দাঁড়িয়ে তুমি সেটি স্বীকার করছ অথবা প্রমাণিত হচ্ছে।

    ধারা ২১— Protection of life and personal liberty- অর্থাৎ কারও অধিকার নেই আমাকে মেরে ফেলার। কেউ আমাকে মারলে বা অনিষ্ট করলে তার জন্য সাজা পেতে হবে। 

    ধারা ২১(ক)— Constitution Amendment( 86 ) Act, 2002, তে এই ধারাটি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি হল ৬-১৪ বছরের শিশুদের শিক্ষার অধিকার। 

    ধারা ২২— Protection against arrest and detention in certain cases

    এটির দ্বারা কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে তার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। 

    ২২(১)- কাউকে বিনা নোটিসে গ্রেপ্তার করা যাবে না এবং সেই ব্যক্তির আইনি সহায়তার অধিকার রয়েছে। 

    ২২(২) – গ্রেপ্তারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটতম জজের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ জেলে বসে লুডো খেলা চলবে না। 

    ২২(৩)- ওপরের দুটি অধিকার কোনো বিদেশী শত্রু, যেমন ধর যুদ্ধবন্দিদের জন্য প্রযোজ্য নয়। হাজার হাজার সেনাকে ২৪ ঘন্টায় কোর্টে তুলবে? মামাবাড়ি নাকি। 
    যাদের preventive detention এ আটক করা হয়েছে তারাও ওপরের সুযোগ সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ জেলে পচে মর। 

    ২২(৪)- preventive detention এর ক্ষেত্রে ৩ মাসের বেশি হেফাজতে রাখা যাবে না। রাখতে গেলে হাইকোর্টের জজের বেঞ্চিতে বসিয়ে এদের টাইট দিতে হবে।

    Preventive Detention

    এর মানে হল দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলারক্ষার তাগিদে কেবলমাত্র সন্দেহের বশে কাউকে গ্রেপ্তার করা, এটা ধরে নিয়ে যে তার দ্বারা দেশের আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ও বাবা, এ তো দেখি আরেক Rowlatt Act, তাহলে ব্রিটিশরা কি দোষ করল!

    সংবিধানের Article 22 তে দেশের লোকেদের হাজতবাস সংক্রান্ত নিয়মগুলি লেখা আছে। 

    Article 22 (1) বলে—  যে সকলকে জেলে পোরা হয়েছে তাদের সকলের অধিকার কাছে একজন আইনজীবীর সাহায্য নিয়ে নিজেকে বাঁচানো। অর্থাৎ জেলে পুরে আমার সাথে লুডো খেলবে, সে হবে না। 

    Article 22 (2) বলে— যাকে জেলে পুরেছ তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোনো জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করতে হবে। অবশ্য হাজত থেকে মুড়ির টিনের ভ্যানে করে সেখানে পৌঁছতে যে সময় লাগে সেটা ধরা হচ্ছে না। 

    তবে এই দুটি ধারা কোনো শত্রুদেশের নাগরীকদের ওপর প্রয়োগ করা যাবে না। কেন? যুদ্ধ শেষে লাখ লাখ শত্রুসেনাকে ২৪ ঘন্টায় কোর্টে তুলবে? মামাবাড়ি নাকি!

    Article 22(3), এটাই হল এ যুগের রাওলাট থুড়ি Preventive Detention আইন। এই আইন বলছে Article 22 (1) এবং Article 22 (2) লাগু হবে না যদি এই ধারায় কাউকে ধরা হয়। লে হালুয়া! তার মানে এটা হলে আমাকে জেলে পচে মরতে হবে? হ্যাঁ, অনেকটা তাই। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, দুর্গাপুজোর সময় যত চোর গুন্ডা আছে, তাদের ধরে গারদে পোরা হয়ে থাকে। 

    আসলে এখন ছিঁচকে চোরের চাইতে সন্ত্রাসবাদীর ভয় বেশি। তাই ১৯৬৯ সালে এই আইন expire করার পরেও ৭ বার রিনিউ হয়েছে। MISA, COFEPOSA, TADA এর পরে মুম্বাই হামলার পরে Unlawful Activities Prevention Act, 2008- এই আইনেরই বংশধর।

    Important Court cases: Click here

    Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website



    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

     WBCS Foundation Course Classroom Online 2024 2025 WBCS Preliminary Exam Mock Test WBCS Main Exam Mock Test WBCS Main Language Bengali English Nepali Hindi Descriptive Paper