Various Acts and Rules of British Era -Indian History Notes WBCS Exam
By Dipayan Ganguly
ব্রিটিশ ভারতের আইন কানুন
ইংরেজ সরকার ভারতের আইন কানুন নিজেদের সুবিধার জন্য তৈরি করত, আবার ঢাক ঢোল পিটিয়ে অর্কেস্ট্রা বাজিয়ে গেজেটে বিজ্ঞাপন দিত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তরফে হেস্টিংস সাহেব যখন গভর্নর জেনারেল হয়ে বাংলায় পোস্টিং পেলেন, তখন কলকাতার গরমে অতিষ্ঠ হয়ে নিজের হাতপাখার জন্য রেগুলেটর তৈরি করলেন। এরই ফলস্বরূপ তৈরি হল অখন্ড ভারতের প্রথম আইন—Continue Reading arious Acts and Rules of British Era -Indian History Notes WBCS Exam
Regulating Act, 1773
এই আইনে সবার আগে দ্বৈত শাসনব্যবস্থার ঘাড়ে ধাক্কা দেওয়া হল। কারণ? কেন্দ্রীকরণ। প্রথমে রাজার সাথে রাজার যুদ্ধ লাগিয়ে ঐক্যের বারোটা বাজাও, তার পরে নিজে ক্ষমতা পেয়ে আঁটিসাঁটি, অন্যের বেলায় দাঁতকপাটি। এবারে হেস্টিংস সাহেব ক্ষমতা যখন পেয়েছেন, সহজে কি আর ছাড়েন? আইনে বলা হল বাংলার লাটসাহেব হবেন ভারতে কোম্পানির সমস্ত জায়গার হোতা , মায় মাদ্রাজ ও বোম্বাই এর লাটেরাও এনার অধীনে। অর্থাৎ ইডলি এবং বঢ়া পাও এর থেকে রসগোল্লার কদর বেশি। বটে! এর বিচার করবে কে? এর জন্য সুপ্রিম কোর্ট খোলা হোক। কোথায়? আমাদের কলকাতায়।
Pitts India Act, 1784
হেস্টিংস সাহেব তো আইন তৈরি করে, মিরজাফরের বিধবা বউ মুন্নী বেগমের টাকাপয়সা হাতিয়ে, নন্দকুমারের ফাঁসি দিয়ে , প্রচুর ধনসম্পত্তি করে চম্পট দিলেন। কিন্তু যেতে যেতে নিজের Pit মানে কবর খুঁড়ে গেলেন। এটাই হল Pitts India Act। এর ফলে দ্বৈত শাসনব্যবস্থা ফিরে এল, যেখানে এক জায়গায় থাকল Board of Control এবং পড়ে রইল Court of Directors । অর্থাৎ Director এখানে যেভাবে খুশি ফিল্ম তৈরি করতে পারবেন না। বাড়াবাড়ি করলে Board কিন্তু Court এর থেকে বল কেড়ে নিয়ে নিজেরাই ক্রিকেট খেলতে পারবে।
Charter Act 1813
১৮১৩। ১৩ আনলাকি। চিনি ছাড়া চা বেচে পড়াশোনার একলাখি খরচ চালাও।
মানে?
এই প্রথম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারতে একচেটিয়া ব্যবসা করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হল, মিলিটারি ছাঁট দিয়ে ল্যাজ অর্থাৎ পনিটেল কেটে দেওয়া হল। বলা হল ভারতে কেবল চা এর ব্যবসা এবং চিনের সাথে বাণিজ্য ছাড়া কোনও একচেটিয়া ব্যবসা চলবে না। এই কারণেই ১৩ এর আইনটি আনলাকি, কোম্পানির দুর্দশা শুরু হল বলে।
তা একলাখি কেন?
বলা হল কোম্পানিকে বছরে শিক্ষার জন্য ১ লাখ টাকা সেলামি দিতে হবে।
Charter Act of 1833
বিশ বচ্ছর ধরে একচেটিয়া চিনি ছাড়া চা বেচেছ। এই আইনে সেটাও কেড়ে নিয়ে কোম্পানিকে একেবারে ন্যাড়া করে দেওয়া হল। কারণ ইংরেজ সরকার বুঝে গেল যে এই দেশে মধু আছে , কাজেই ধীরে ধীরে মৌমাছির অর্থাৎ কোম্পানির চাক ভাঙতে হবে। ১৭৭৩ এর কথা মাথায় রেখে শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীকরণ করা হল। বাংলার লাটসাহেব বেন্টিঙ্ক সাহেব হয়ে গেলেন প্রথম Governor-General of India । তার মানে দেশের আইন তৈরিতে বাংলাই সর্বেসর্বা। কাজেই ইডলি আর বঢ়া পাও এর দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গেল। আইন তো Governor-General এর মুঠোয়, এবারে দেখাশোনার লোক লাগবে যে। কাজেই Council of Governor-General এ Contractual job এর বিজ্ঞাপন দিয়ে একজন law member কে রাখা হল।
Charter Act of 1853
কোম্পানি তো এখন ন্যাড়া। ন্যাড়া তো আর বেলতলায় যাবে না। কাজেই formality এর খাতিরে বলা হল যে কোম্পানি আপাতত থাকুক, কানা মামা সেজে।
বিশ বছর আগে যে law member কে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, সে এবারে permanent হয়ে গেল। তাও আবার লাটসাহেবের Executive Council এ। অর্থাৎ কেরানি থেকে একেবারে আমলা আর কি।
আমলা বলতে মনে পড়ল, এই আইনে বলা হল যে Civil Services এর মারফত আমলাদের নিয়োগ করা হবে পরীক্ষার ভিত্তিতে। তবে সেটা কেবল সাদা পাঁঠাদের জন্য।
এর মধ্যে সিপাহি বিদ্রোহের সময় চলে এল।
আমরা জানি ১৮৫৭ এর মহাবিদ্রোহের পরে ভিক্টোরিয়া দেবী মসনদের গদিতে বসে ন্যাড়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে গাধার পিঠে চড়িয়ে দেশ ছাড়া করার ব্যবস্থা করলেন। কয়েকটি আইন পরপর তৈরি করে ইংরেজ সরকার ভারত ও ভারতীয়দের ওপর নিয়ন্ত্রণের রাশ কষে ধরতে লাগল। সেইগুলি হল—
Government of India Act, 1858
এই আইনে ইন্ডিয়াতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লকআউট ঘোষণা হল। Pitt এর আইনের Pit এ অর্থাৎ কবরে মাটি চাপা দিয়ে দ্বৈত শাসনব্যবস্থা অর্থাৎ Board এবং Court এর পাততাড়ি গুটিয়ে দেওয়া হল। ডালহৌসির স্বত্ববিলোপ নীতি তুলে দেওয়া হল, রেখেই বা কি লাভ হত, সরকার যখন সবকিছুই কব্জা করার ধান্দায়। Governor General এর পদের নতুন নামকরণ হল— Viceroy। ১৮৩৩ এর আইনে জনৈক law member কে Governor General এর দপ্তরে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, এখন তার পরিবর্তে একটা পদ তো তৈরি করতে হবে। এসে গেল Secretary of state এর পদ, যিনি আবার ব্রিটিশ আইনসভার সদস্য। কাজেই দেশের সমস্ত গতিবিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নজর রাখার জন্য কেন্দ্রীকরণের পন্থা অবলম্বন করা হল।
Indian Councils Act, 1861
ইংরেজরা বুঝে গেল যে এতবড় একটা দেশ চালাতে প্রাদেশিক সরকারকে অল্পবিস্তর আইনি ক্ষমতা দিতেই হবে। কাজেই তৈরি হল legislative council, যে কারণে তখন থেকে আইনগুলিকে Councils Act বলা শুরু হল। এই আইনে মাদ্রাজ ও বোম্বাইকে, অর্থাৎ ইডলি ও বঢ়া পাও কে তাদের অঞ্চলে Advocate-General নিয়োগ করার ক্ষমতা প্রদান করল। আরও বলা হল যে ২ বছর মেয়াদের চুক্তিতে ছোটলাটের Council এ ৪-৮ জন সদস্য এরা পাঠাতে পারবেন। এদিকে বড়লাটের Council এ ৬-১২ জন নির্বাচিত হবেন যার অর্ধেককে বড়লাট নিজে গদিতে বসাবেন। ব্যস, শুরু হয়ে গেল দেশের রাজারাজড়াদের বড়লাটের চামচাগিরি করা।
Council বা পর্ষদ তো হল, তাহলে কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক বিষয়গুলির কি হবে? যদিও ইডলি এবং বঢ়া পাও এর হাতে ক্ষমতা দিয়ে কিঞ্চিৎ বিকেন্দ্রীকরণ হল বটে, কিন্তু অর্থ, পোস্ট-টেলিগ্রাফ, মুদ্রার মত বিষয়গুলি কেন্দ্র নিজের পকেটে পুরে নিল। এর পাশাপাশি শুরু হল Portfolio System , মন্ত্রীমশাই হয়ে গেল ষড়যন্ত্রীমশাই। বড়লাটের হাতে Ordinance জারি করার ক্ষমতা চলে এল, ঠিক যেমন আজকের দিনে রাষ্ট্রপতির থাকে। বড়লাটের সম্মতি ছাড়া যেমন বিল পাশ হত না তেমনি অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষমতাও ছিল না সেই পর্ষদের।
সব মিলিয়ে এই আইন ছিল সিঁড়ির তলায় বিড়ির দোকানের মতন— খালি আড্ডা আর কাজে অষ্টরম্ভা।
Indian Councils Act, 1892
১৮৮৫ সালে কংগ্রেস তৈরি হয়েছে। কাজেই সুরেন বাঁড়ুজ্জে, উমেশ বাঁড়ুজ্জের মতন হেভিওয়েট নেতারা এখন জনপ্রতিনিধি। এখন তো ভারতীয়দের হাতে কিছু ক্ষমতা দিতেই হবে। কিন্তু এটা তো পর্ষদের আইন। কাজেই পর্ষদের সাইজ বাড়াও, বঢ়া হ্যায় তো বেহতর হ্যায়। ব্যস, বড়লাটের পর্ষদের সাইজ
৬-১২ থেকে বেড়ে হল ১০-১৬। প্রাদেশিক পর্ষদের গদি সংখ্যাও বাড়ল, ইডলি বঢ়া পাও এর পাশাপাশি উত্তর পশ্চিম সীমান্ত মায় অযোধ্যায় পর্যন্ত রাম মন্দির থুড়ি পর্ষদের জন্য ১৫ জন সদস্য গদিলাভ করলেন।
এই প্রথম আড্ডা ছেড়ে কাজের কথা শুরু হল। বিড়ির দোকান হয়ে গেল ক্লাব, বাজেট নিয়েও আলোচনা শুরু হওয়ার পাশাপাশি আম আদমির সমস্যা নিয়েও টেবিল বাজানো শুরু হল। বিশ্ববিদ্যালয় , পৌরসভা , জেলার বোর্ড , জমিদার সবাই মিলে প্রাদেশিক পর্ষদে নমিনেটেড সদস্য পাঠাতে শুরু করল, যেমন আজকেও কয়েকটি রাজ্যের বিধান পরিষদে হয়ে থাকে। অর্থাৎ পরোক্ষ নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হল যা ভবিষ্যতে দেশের মধ্যে আইনসভা র প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করল। যদিও সরাসরি নির্বাচন তখনও দুর অস্ত, কারণ Secretary of State এই প্রস্তাবটি বার বার নাকচ করতে লাগলেন। তবে এই আইন যে কিছুটা হলেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ আম আদমির সমস্যা না মিটলে কংগ্রেস তো ছেড়ে কথা বলবে না।
ব্রিটিশ ভারতে আইনগুলি তৈরি হয়েছিল সমসাময়িক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। অর্থাৎ যেই রকম ভাবে দেশের লোকে ঝামেলা করবে, সেই রকম ভাবে আইন তৈরি করে নাট বল্টু টাইট করে দিতে হবে, যাতে ভারতীয়রা ফোঁস করলেও ছোবল না মারতে পারে। ১৯০৫ এ বঙ্গভঙ্গ করে হিন্দু মুসলিমের মধ্যে দাঙ্গা বাধিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু কয়েক বছর যাওয়ার পরে সাদা পাঁঠারা বুঝতে পারল যে বাঙালিদের এইভাবে না ভেঙে গোটা দেশটাকে ভিতর থেকে ভাঙতে হবে। অথচ এমন ভাব দেখাতে হবে যেন দেশের লোকের জন্য কত দরদ। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। সেই আইনগুলিতে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেই বদের হাড্ডিগুলির মতলবটি বোঝা যাবে।
Indian Councils Act, 1909 (Morely-Minto Reforms)
লর্ড Minto তখন বড়লাটের গদিতে এবং Morely তখন Secretary। এই অবস্থায় এল ১৯০৯ এর পর্ষদের আইন। আগের পর্ষদের আইনগুলিতে গদি সংখ্যা বাড়ানোর হিড়িক পড়েছিল, এবারেও তাই। কেন্দ্রীয় পর্ষদে ১৬ থেকে গদি বাড়িয়ে ৬০ করা হল, অর্থাৎ Sweet 16 থেকে Retirement age। প্রাদেশিক পর্ষদে কোনো স্থির গদি সংখ্যা ছিল না, অর্থাৎ যেখানে যেরকম। এই প্রথম বার কেন্দ্রীয় পর্ষদে মুসলিমদের জন্য কয়েকটি গদি তৈরি করা হল, যাতে হিন্দুরা ক্ষেপে যায়। কেন? সেই গদির জন্য মুসলিমরা মুসলিম প্রতিনিধিদের ভোট দেবেন। এতে মুসলিমরা ভাববেন যে সাদা পাঁঠার মাংস কত ভালো, আর এদিকে হিন্দুদের রাগ ইংরেজদের ওপর থেকে উঠে পড়ল মুসলিমদের ওপর। এক ঢিলে দুই পাখি।
এই আইনে এটি বলা হল যে পর্ষদে বাজেটের সময় নানারকম সম্পূরক প্রশ্ন করা যাবে, যাতে মনে হয় যে সরকারের ঘরে কাজের কাজ হচ্ছে। অর্থায় মাথায় ডাণ্ডা মেরে ফুলিয়ে আর্নিকা খাইয়ে দেওয়া আর কি।
Government of India Act, 1919 (Montague-Chelmsford Reforms)
তখন Montague ছিলেন Secretary এবং বড়লাট লর্ড Chelmsford। তা বাপু এটিকে Government of India Act বলা হচ্ছে কেন ? কারণ ডাণ্ডা মারার জন্য introduction of responsible government in India এর ছুতো খুঁজতে হবে তো। এই প্রথম একটি আইনের জন্য আলাদা একটি Preamble তৈরি হল। বলা হল যে ভারত ব্রিটেনের অবিভেদ্য অংশ। এ ছাড়াও বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, কারণ ততদিনে সশস্ত্র বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে, এদের আটকাতে প্রাদেশিক সরকারের হাতে ভালোরকম ক্ষমতা দিতে হবে।
এই আইনে শুরু হল Dyarchy। সে আবার কি? দ্বৈত – শাসন। তার মানে একটার পর একটা আইন তৈরি করে Experiment করা হচ্ছে— প্রথমে দ্বৈত শাসন হাটাও→কেন্দ্রীকরণ কর→সুযোগ বুঝে বিকেন্দ্রীকরণ কর→ দ্বৈত শাসন ফিরিয়ে আনো। এখন যেমনি Union list আর State list রয়েছে, তেমনি তখন ছিল central এবং provincial বিষয়। Provincial বিষয়গুলিকে আবার reserved এবং transferred এর গ্যাঁড়াকলে আটকে দেওয়া হল। ভূমি রাজস্ব , সেচ, সংবাদপত্রের মত বিষয়গুলি রিজার্ভেশন পেয়ে গেল, অর্থাৎ এগুলি বড়লাট নিজের পকেটে পুরলেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য , কৃষির মত বিষয়গুলি রিজার্ভেশন না পেয়ে ট্র্যান্সফার হয়ে গেল, অর্থাৎ মন্ত্রীদের কাছে।
এই আইনে আইনসভা হয়ে গেল bicameral, মানে দুটি ঘর পেল— ঘরওয়ালি আর বাহরওয়ালির জন্য।
১৯০৯ এর আইনে মুসলিমদের জন্য গদি সংরক্ষণ তো হয়েছিল, এই আইনে শিখদের জন্য সংরক্ষণের প্রস্তাব রাখা হল। অর্থাৎ যেভাবে দেশের মানুষকে ভাগ করা যায় আর কি।
এই আইনে ঢাকের বাঁয়ার মতন লণ্ডনে High Commissioner এর পদ তৈরি করা হল।
Government of India Act, 1935
এই আইন শুরু হওয়ার আগে সাইমন কমিশন এসে ফিরে গেছে, তিন তিনটে গোল টেবিল বৈঠক হয়েছে। ম্যাকডোনাল্ডের বার্গারে ভাগাড়ের মাংস, ইয়ে মানে সাম্প্রদায়িক রোয়েদাদ ঘোষণা হয়েছে। পুণাতে চুক্তি করে কোনোরকমে শান্তি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই রকম একটি পরিস্থিতিতে ১৯৩৫ এর
এই আইনে সর্বভারতীয় Federation এর কথা বলা হল। অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসিত অঞ্চলের পাশাপাশি Princely States গুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা। লর্ড ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতার কথা মনে পড়ে?
দ্বৈত শাসনব্যবস্থায় এইবার প্রদেশগুলির হাতে স্বাধীনতার বাতাসা ছড়িয়ে দেওয়া হল। কাজকর্মের বিষয়গুলিকে Federal, Provincial এবং Concurrent লিস্টে বেঁধে দেওয়া হল। বড়লাটের হাতে রইল Residuary powers, Indian Council of Secretary of State এর দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া হল।
১৯০৯ এর আইনে মুসলিম, ১৯১৯ এর আইনে শিখ, কাজেই ১৯৩৫ এর আইনে Anglo-Indians, ভারতীয় খৃষ্টান এবং Europeans দের জন্য গদির ব্যবস্থা করা হল।তার মানে একটার পর একটা ব্রেক মেরেই চলেছে, এদিকে গাড়ির ইঞ্জিনের ঠিক নেই। তবে ১৯৩৫ এ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও ১৯৩৭ এ দিল্লীতে সুপ্রিম কোর্ট তৈরি করে সান্তনা পুরষ্কার দেওয়া হল। টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে , আইন শৃঙ্খলার সাড়ে বারোটা বাজিয়ে হাতে হ্যারিকেন থুড়ি ব্যাঙ্ক আর কোর্ট ধরিয়ে দেওয়া হল।
Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website