Page 1 of 1

Suggestions regarding WBCS Exam...

PostPosted: Sun Dec 04, 2016 10:40 pm
by admin
যে মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনার বন্ধুরা নিশ্বাস ফেলার ফুসরতটুকু না রেখে রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা বইয়ের সাথে আঠার মতো লেগে আছেন , তাদের উদ্দেশ্যে আমার কয়েকটি পরামর্শ –

১. হাল ছেড়ে দেবেন নাঃ
এমন এক সময় ছিল, যখন বিগত বছরের প্রশ্নসমূহ মুখস্থ করেই দিব্যি প্রিলি পাস করার আশা করা যেত। অথচ পিএসসি বর্তমানে নির্ধারিত সিলেবাসের অধীনে প্রশ্ন করলেও গতানুগতিকতার বাইরে যাবার একটি প্রবণতা তাদের প্রণীত বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে লক্ষ্য করা যায়। ফলে প্রথাগত বই বা কোচিং এর লেকচার শীট মুখস্থ করে নিশ্চিত সাফল্যের গ্যারান্টি কমছে। আমি বলছি না যে, যারা দিনরাত কষ্ট করে প্রস্তুতি নিয়েছেন তাদের সাথে আপনি সমান্তরালে অবস্থান করছেন। কিন্তু পিএসসি যখন নোট- গাইড মুখস্থের প্রবণতা কমাতে চাইছে তাই আহামরি প্রস্তুতি না থাকা সত্তেও প্রশ্নপত্র একটু এদিক ওদিক হলেই আপনার পক্ষে পাশার দান উলটে যেতে পারে। আর এ জন্য, যে কয়েক দিন সময় আছে, এর মধ্যে প্রস্তুতি গুছিয়ে ফেলার বিকল্প নেই। “আমার দ্বারা কিচ্ছুটি হবে না” ভেবে যদি হাতপা গুটিয়ে বসে থাকেন তাহলে সুদূরে জ্বলা সম্ভাবনার এই মিটিমিটি প্রদীপটিও তিরোহিত হয়ে যাবে, নিশ্চিত থাকুন।

২. কি পড়বেন কতটুকু পড়বেনঃ
সময় বাকি আর মাত্র কয়েক দিন, এই সময়ে জ্ঞানের জাহাজ হবার চেষ্টা দূরে থাকুক , সিলেবাসের প্রয়োজনীয় টপিকগুলো টাচ করা কিন্তু সম্পূর্ণ অসম্ভব ব্যাপার নয়। আমি শুধু দুইটা বইয়ের নাম বলি ( জানি, অনেকে ঠোট উল্টে বলবেন, এ আর নতুন কি। অনেক অনেক আগে থেকেই আমরা এসব জানি – প্লিজ, আমার এ লেখা আপনার জন্য নয়)
১. ভারতের ইতিহাস – জীবন মুখার্জি
২. জেনেরাল নলেজ- মনহর পাণ্ডে।
পরীক্ষার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এই দুইটা বইয়ে যতটুকু পারেন চোখ বোলাতে থাকুন। প্রিলি পাস করতেই হবে বা দুটো বইয়ে দেওয়া সব তথ্য মুখস্থ করে ফেলতে হবে, এমনটা ভেবে নিজেকে অযথা চাপে ফেলবেন না। মনে মনে ভাবুন, “আমার কোন পরীক্ষা টরীক্ষা নেই, আমি এই কয়েক দিনে বই দুটো শুধু রিডিং পড়ব”।


৩.প্রস্তুতি আছে এবং নেইঃ
আপনার প্রস্তুতি একদমই নেই, কবে কে একথা বলেছে। আপনি কি মাধ্যমিক পর্যায়ের বাংলা, অংক, ইংরেজি, সাধারণ বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান না পড়েই এ পর্যায়ে চলে এসেছেন? বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কিছুই পড়েন নি!! মাঝেসাজে রেডিও-টিভির খবর বা পেপার পত্রিকার পাতা খুলেটুলে দেখেন নি!!মনে রাখবেন, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাসের একটি বড় অংশ আপনি এরই মধ্যে কাভার করে এসেছেন। কেউ কেউ রাজ্যের আধাঁর ভরা মুখে, ভারাক্রান্ত কন্ঠে বলবেন, ভাই সব তো ভুলে গেছি”। আরে ভাই, ভুলে গেছেন বলেই তো উপরের বই দুটো পড়তে বলেছি। শুরু করে দেখুন, আপনার জানার মধ্যে দেখবেন অনেক কিছুই রিভাইজ হয়ে যাচ্ছে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, প্রথাগত বই টই পড়ে প্রস্তুতি না নিলেও যা ভাবছেন, আপনার প্রস্তুতি আসলে অতটা ‘জিরো’ না। তাই আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। এই শেষ সময়টার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করুন।

৪. লড়াইয়ের সময় কোনদিন শেষ হয় নাঃ
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। জীবনভর মেধা-যোগ্যতায় আপনার পেছনে পরে থাকা অনেকের সাড়ম্বর বিজয়োল্লাস অসহায়ভাবে প্রত্যক্ষ করার সময় ঘনিয়ে আসছে ক্রমশ। এখনো কি জেগে উঠবেন না!! হাতপা বাধা জবাই হতে যাওয়া অবোধ পশুটিও তো মরে যাবার আগে সর্বশক্তি উজাড় করে বাঁধন ছিন্ন করে বাচার শেষ চেষ্টাটা করে!! রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো ছাইভস্ম থেকেও জেগে উঠার প্রত্যয়ে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রকৃত বীরপুরুষ প্রতীয়মান করে তুলুন। বিপদ যতই অবধারিত আর অত্যাসন্ন হোক, হারার আগে হেরে না যাওয়ার ইস্পাতকঠিন সংকল্পে দাতে দাত চেপে আপাত অসম্ভব লক্ষ্যটাকে জয়-পরাজয়ের মাঝামাঝি পেন্ডুলামে ঝুলিয়ে দিন না!! সাহসিকতার, অদম্য লড়াকু সৈনিকদের জয় হোক।

Fatal: ./cache/ is NOT writable.