ইকনমির কন্সেপ্ট – বাজেট ঘাটতি আর ফিস্কাল ঘাটতির মধ্যে তফাৎ কোথায় – For W.B.C.S. Examination.
By Dipayan Ganguly, WBCS Gr A
সংসারে আয়ের চাইতে ব্যয় বেশি হলেই ঘাটতি হয়। সরকারের ক্ষেত্রেও তাই। সরকারের Receipt গুলোর থেকে Expenditure গুলো যখন বেড়ে যায়, তখন ঘাটতি দেখা যায়।Continue Reading ইকনমির কন্সেপ্ট – বাজেট ঘাটতি আর ফিস্কাল ঘাটতির মধ্যে তফাৎ কোথায় – For W.B.C.S. Examination.
এগুলো ভালোভাবে বুঝতে গেলে আমাদের চারটে জিনিস বুঝতে হবে—
Revenue Receipts -(১)
Capital Receipts- (২)
Revenue Expenditure -(৩)
Capital Expenditure -(৪)
Revenue Receipts কাকে বলে?
Revenue receipts হল সেই সমস্ত Receipts যা পেতে সরকারের asset ও কমে যায় না এবং liability ও বেড়ে যায় না।
মানে তুমি তোমার asset বিক্রি করে টাকা পেয়ে নিজেকে আত্মনির্ভর বলতে পারবে না, অর্থাৎ সরকারি সম্পত্তি বা সরকারি কোম্পানিগুলো আম্বানি আদানিকে বেচে যে টাকা পেলে, সেটাকে Revenue receipts বলতে পারবে না। আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ভয় দেখিয়ে অথবা আম আদমির থেকে টাকা ধার করে পকেট ভরলেও সেটাকে Revenue receipts বলা যাবে না, কারণ ধার করলে তো liability বাড়ে।
তাহলে Revenue receipts টা আদতে কি? ওই যে পাবলিকের ঘাড় ভেঙে কর আদায় করে যেটা পেলে, অথবা রাজ্য সরকারদের টাকা ধার দিয়ে যে সুদটা পেলে অথবা সরকারি কোম্পানিগুলো ভুল করে লাভের মুখ দেখলে যে লভ্যাংশটা তুমি ছিনিয়ে নিলে।
তাহলে Capital Receipts টা কি?
এটা হল সেই সব Receipts যা পেতে asset কমে যায় এবং liability বেড়ে যায়। আবার মনে কর কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলোকে লোন দিয়েছিল, সেগুলো এবার ফেরৎ পাচ্ছে। লোন দেওয়ার সময় balance sheet এ asset এর ঘরে এটাকে দেখিয়েছিলে, এখন দেনা শোধ হতেই সেই asset কেন্দ্রের balance sheet থেকে হাওয়া হয়ে গেল। কাজেই এখানেও asset কমল। আবার ধর কেন্দ্র সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অথবা বিদেশ থেকে টাকা ধার করে বসল। তাহলে এতে টাকা হাতে এলেও liability বাড়ল। অতএব এটাও এক প্রকার Capital Receipts হল।
তার মানে Capital Receipts এর দুটো অংশ-
লোন recovery – (৫) &
বাজার থেকে ধার এবং অন্য liability – (৬)
গাণিতিক ভাবে, (২) = (৫)+(৬)
Receipts তো গেল, এবারে Revenue Expenditure টা কি?
Revenue Receipts থেকে যে খরচটা করায় সেটাই হল Revenue Expenditure, অর্থাৎ যাতে assets তৈরি হয় না। পাতি বাংলায় এটা হল সরকারের সংসার খরচ। অর্থাৎ মাইনে পেনশন দেওয়া, ভর্তুকি দেওয়া, রাজ্যদের grants দেওয়া ইত্যাদি ।
তাহলে Capital Expenditure কি?
Capital asset তৈরি করতে যে খরচটা হয় সেটাই হল Capital Expenditure । অর্থাৎ যে খাতে খরচ করলে asset বাড়বে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, বাঁধ অর্থাৎ infrastructure তৈরিতে খরচ, রাজ্যগুলোকে asset তৈরি করার জন্য ধার দেওয়া হল Capital Expenditure । এমন কি, প্রতিরক্ষা খাতের খরচও হল Capital Expenditure, এখানে infrastructure সংক্রান্ত asset তৈরি না হলেও অন্য দেশকে ভয় দেখানো তো যায়।
সবই তো বুঝলাম, তাহলে বাজেট ঘাটতিটা কি?
এটা হল Total receipts- Total expenditure
অর্থাৎ মোট আয় – মোট ব্যয়
এবারে Total receipts হল (১) + (২) অর্থাৎ Revenue Receipts
+
Capital Receipts
এবং Total expenditure হল (৩) + (৪) অর্থাৎ
Revenue Expenditure
+
Capital Expenditure
ভেঙে দাঁড়াল, [(১)+(২)] – [(৩)+(৪)]
এভাবেও লিখতে পারি
[(১)-(৩)] + [(২)-(৪)], অর্থাৎ revenue account ঘাটতি+ capital account ঘাটতি
তাহলে ফিস্কাল ঘাটতিটা কি?
সরকারের বাজেট ঘাটতির মধ্যে তো বাজার থেকে ধার এবং অন্য liability টাও ধরা থাকে। কোথায়? Capital Receipts এর মধ্যে। এই অংশটা বাজেট ঘাটতি থেকে বাদ দিলে আমরা ফিস্কাল ঘাটতিটা পেয়ে যাব। অর্থাৎ ধার দেনা বাদ দিয়ে সংসার চালাতে গেলে সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে কতটা প্রকৃত ঘাটতি রয়েছে। এটাই হল ফিস্কাল ঘাটতি। এ
আমরা বাজেট ঘাটতির সময় দেখেছিলাম যে,
বাজেট ঘাটতি = [(১)+ (২)] – [(৩)+(৪)]
যেহেতু (২) = (৫)+(৬),
কাজেই এখানে (৬) টা বাদ দিলেই ফিস্কাল ঘাটতি পেয়ে যাব।
অর্থাৎ ফিস্কাল ঘাটতি = [(১)+ (৫)] – [(৩)+(৪)]
Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website