শক্তিশালী কাকে বলে? যে অন্যের সাপেক্ষে কঠিন বা যার গায়ের জোর অন্যের থেকে বেশি। তাই তো?Continue Reading ইকনমির কন্সেপ্ট – Hard Currency – Soft Currency – Hot Currency – Heated Currency – For W.B.C.S. Examination.

মানে একজনকে শক্তিশালী আমরা তখনই বলব যখন সে কুস্তিতে আরেকজনকে হারিয়ে দিতে পারবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রাগুলো একে অপরের সাথে কুস্তি করতে থাকে। শেষমেশ যে মুদ্রার চাহিদা বা liquidity বেশি হয়, সেটা হয়ে যায় সবথেকে শক্তিশালী ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত ব্রিটেনের পাউন্ডের চাহিদা সবথেকে বেশি ছিল। কাজেই এটা ছিল সবথেকে শক্তিশালী মুদ্রা। এর পরে অ্যাটম বোমা ফাটিয়ে আমেরিকার ডলার সবথেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠল। কাজেই পাউন্ডের জায়গা নিয়ে নিল ডলার।

প্রায় প্রতিটা দেশের মুদ্রা ডলারের সাপেক্ষে কুস্তি করতে থাকে। যদিও পাউন্ড , ইউরো বা ইয়েন আজকাল ডলারকে ভালোই টেক্কা দিচ্ছে। আর টাকা? আন্তর্জাতিক বাজারে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতন লাফালাফি করছে।

কাজেই এই ডলার, পাউন্ড , ইউরো, ইয়েন এরা হয়ে গেল শক্তিশালী বা Hard Currency

আর এদের উল্টোটা, অর্থাৎ যারা নিজের গলিতে বাঘ কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হয়ে রইল, এরাই হয়ে গেল কমজোরী বা Soft Currency

মোমো কিভাবে বিক্রি হয় নিশ্চয় দেখেছ। মোমোর ডাব্বার তলায় গরম জলের পাত্র থাকে। গরম জলের পাত্রের ওপর থেকে ডাব্বাটা সরালেই মোমো ঠান্ডা হয়ে যেতে থাকে। কাজেই তলার পাত্রে গরম জল খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওটা হঠে গেলে মোমো ঠান্ডা হতে থাকবে খুব তাড়াতাড়ি । আর ঠান্ডা মোমোর চাহিদা আর দাম

কমতে থাকবে ফটাফট।

প্রত্যেকটা দেশের অর্থনীতিতে নিজস্ব মুদ্রার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক Hard Currency ও থাকে। এই শক্তিশালী মুদ্রা যখন কোনো কারণে দেশের বাইরে তাড়াতাড়ি চলে যেতে থাকে, তখন সেই Hard Currency গুলো হয়ে যায় গরম মুদ্রা অথবা Hot Currency , ঠিক যেন মোমোর গরম জলের পাত্র।

আর তখন মোমোরূপী দেশের মুদ্রার কি হাল হয়? গরম আবহাওয়ারূপী Hot Currency বিদায় নেওয়ার সাথে সাথে দাম পড়তে থাকে, মানে ঠান্ডা হতে থাকে। কাজেই এটা তখন হয়ে যায় Heated Currency অর্থাৎ চাপ খেয়ে যাওয়া মুদ্রা ।