Indian Polity – Article 31 – For W.B.C.S. Examination.
By Dipayan Ganguly, WBCS Gr A
Article 31
রাষ্ট্রের সংবিধানের Preamble এ বলা রয়েছে যে রাষ্ট্র নাগরিকদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক justice এর কথা মাথায় রেখে দেশ চালনা করবে।Continue Reading Indian Polity – Article 31 – For W.B.C.S. Examination.
দেশে উন্নয়নের ঢেউ আনতে গেলে জমি জায়গা প্রয়োজন, বিশেষ করে কৃষি এবং শিল্পক্ষেত্রে একর একর জমির প্রয়োজন। কিন্তু এই জমি কার দখলে? অবশ্যই আম আদমির। তাহলে উন্নয়নের তাগিদে যদি সরকারের জমির প্রয়োজন হয়, তাহলে কিভাবে সেই জমি সরকারের দখলে আসতে পারে?
এখানেই আসে Eminent Domain এর বন্দুক। যে বন্দুকের নল মাথায় ঠেকিয়ে সরকার জনগণের স্বার্থে সেই জনগণের মধ্যে থেকেই জমি কব্জা করে উন্নয়নের গান গাইতে পারেন।
সংবিধানের Article19 (1)(f) বলে যে দেশের নাগরিক তার নিজের ইচ্ছামত ব্যক্তিগত জমিকে ধরে রাখতে পারেন এবং আইনসম্মত ভাবে বেচে খেতে পারেন। সংবিধানের Article 31 বলে যে কোনো নাগরিককে বিনা অনুমতিতে তার জায়গা থেকে বেদখল করা যাবে না। কিন্তু 44th Amendment Act এই দুখানা অন্ধের যষ্টি নাগরিকদের থেকে জোর করে কেড়ে নিল। সংশোধনী মানেই মামলা হবে—RC Cooper vs Union of India এই মামলাটা তার সাক্ষী। এই কেসকে Nationalization কেস বলে অভিহিত করা হল। কারণ সেই সময় সরকার ঠিক করল যে বেসরকারী ব্যাঙ্ক দখল করে চাষীভাইদের ধার দেবে। এদিকে সেই সমস্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ঝামেলা শুরু করল খোরপোশ নিয়ে। সুপ্রীম কোর্ট বলল যে খোরপোশের রকমটা যা খুশি তাই করা যাবেনা। এই নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।
Article 31 তো মায়ের ভোগে চলে গেল। কাজেই এর দেহাবশেষ হিসাবে পড়ে থাকল Article 31a, 31b এবং 31c যা নাগরিকদের জমি সংক্রান্ত মৌলিক অধিকারের অপারেশন করে পঙ্গু করে দিল।
Article 31a
সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতেই এটা জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ধারায় বলা হল যে সরকার জনস্বার্থে জমি জায়গা ছিনিয়ে নিতেই পারে এবং এর জন্য না কি সংবিধানের ১৪ এবং ১৯ নম্বর ধারার ব্যাঘাত ঘটবে না। অর্থাৎ সাম্য ও স্বাধীনতার অধিকারের দফারফা হয়ে গেল। অবশ্য এর দ্বারা জমিদারি প্রথা লাটে উঠল। বেসরকারী কোম্পানিকে জনস্বার্থে চালনা করার অধিকারও সরকার পেল যেখানে বলা হল যে কিছুদিনের জন্য সরকার রোয়াব দেখাবে এবং কাজটা মিটে গেলে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ২০০৯ সালে সত্যম কম্পিউটারসের কেলেঙ্কারির সময় সরকার ব্যবস্থা নিয়েছিল কিছু দিনের জন্য , মনে পড়ছে নিশ্চয়।
খনির মালিকানা-সংক্রান্ত ব্যাপারেও সরকারের ক্ষমতা এসে গেল। ধর তুমি একটা জমি কিনলে, পরে জানা গেল যে সেই জমির তলায় তেল আছে। ব্যাস, ১৬ কলা পূর্ণ তাহলে। সরকার তোমাকে ঘাড় ধরে বের করে দিতে পারে।
Article 31b
এটা হল আগেরটার যমজ ভাই। অর্থাৎ আগের ধারাতে যা বলা রয়েছে তা নিয়ে কোর্টের কিছু বলার থাকবে না। যেমনটা সব সংশোধনীতই কমবেশি হয় আর কি, কোর্টের থেকে কাঁচিটা কেড়ে নেওয়া। অর্থাৎ সংবিধানের নবম তফসিলে কোর্ট যাতে নাক গলাতে না পারে।
এর বিরুদ্ধেও মামলা হল— Waman Rao কেস। কোর্ট অবশ্য ১৯৭৩ সালে জানিয়ে দিল যে তখন পর্যন্ত যা হয়েছে হয়েছে। কিন্তু এর পরে নবম তফসিলের অপারেশন করতে গেলে কোর্টের অধিকার থাকবে diagnosis করার। কারণ Basic structure টা বজায় রাখতে হবে যে।
Article 31c
সংবিধানের ২৫ তম সংশোধনীতে সরকার নির্দেশমূলক নীতিকে মৌলিক অধিকারের চাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইল। বলা হল যে
Article 39 b এবং Article 39 c কে চাঙ্গা করতে Article 14 এবং Article 19 কে ধোঁকা দেওয়া যেতেই পারে এবং তাতে কোর্ট কিছু বলতে পারবে না। অর্থাৎ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই কোর্টের ভয়, যে কারণে নির্দেশমূলক নীতিকে ঢাল বানানো হল।
তা এই Article 39 b কি বলে? এটা বলে যে সরকারের উচিত রাষ্ট্রের সম্পত্তিকে মানুষের কল্যাণার্থে ভাগ বাঁটোয়ারা করা।
এবং Article 39 c কি বলছে। এটা বলছে যে রাষ্ট্রকে এটা দেখতে হবে যে তার সম্পত্তি কেবল কিছু লোকের হাতে পুঞ্জীভূত না থাকে। যেমন বিপ্লব এটা স্বীকার করে না যে একজনের কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ধনদৌলত থাকে— ওই রকম আর কি।
তাহলে বোঝা গেল যে জমি নিয়ে এত জামা টানাটানি কেন। স্বয়ং ঠাকুর বলে গেছেন- টাকা মাটি, মাটি টাকা।
Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website