Concepts of Economics – WBCS Exam- Second Five Year Plan
ইকনমির কন্সেপ্ট— দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সাফল্যের সাথে টেক অফ করার সাথে সাথেই দেশের নেতা মন্ত্রীদের আত্মবিশ্বাস দশগুণ বেড়ে গেল। অতএব দ্বিতীয় পরিকল্পনার সূত্রপাত হল ১৯৫৬ সালে।Continue Reading Concepts of Economics – WBCS Exam- Second Five Year Plan
প্রথমবার তো কৃষি, শক্তি ও সেচের প্রতি নজর দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ফুল মার্কস। শক্তি এসেছে, কাঁচামাল যাতায়াতের পথ তৈরি হয়েছে। কাজেই এইবার শিল্প আসুক। কিন্তু ঠিক কি রকম শিল্প, পকোড়ার? না না। ভারী শিল্প অর্থাৎ heavy industry যা তৈরি হলে হালকা শিল্প অর্থাৎ এর সাথে যুক্ত শিল্পগুলোও বেড়ে উঠবে।
PC Mahalanobis মহাশয় পেন্সিল নিয়ে এই পরিকল্পনার স্কেচ তৈরি করতে বসলেন। এর দরুন 1956 তে Industrial Policy Resolution তৈরি হল। অর্থাৎ শুরু হয়ে গেল License Raj । হই হই করে তৈরি হল Bhilai, Durgapur, Rourkela এর স্টিলের গাছ, যা অবশ্য বিদেশের দয়াতেই।
গাছ থাকলে শিকড়বাকড়ও থাকবে। অতএব কয়লা উৎপাদনের হিড়িক দেখা গেল। কয়লা স্টিলের গাছ অবধি পৌঁছবে কি করে? রেলগাড়ি চেপে, অতএব রেল লাইন পাতা শুরু হয়ে গেল।
কয়লা যদি এত ভাও পেয়ে যায়, তাহলে পরমাণু কি বোমা ফাটাতে চাইবে না? অতএব Atomic Energy Commission এর দপ্তরে নারকেল ফাটানো হল। ১৯৫৭ তে স্কলারশিপ জলপানির ব্যবস্থা করা হল সরকার পক্ষের থেকে।
পরমাণু নিয়ে গবেষণা শুরু হল, তাহলে টাটারা অর্থাৎ দেশের প্রথম শিল্পপতিরা কি চুপ থাকে?অতএব Tata Institute of Fundamental Research এর কলেজে ফিতে কাটা হল।
এই পরিকল্পনায় যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ২৮ ও শিল্প-খনিজের জন্য ২০ শতাংশ বরাদ্দ করা হল। সামাজিক পরিষেবার জন্য ১৮, কৃষির জন্য ১১, সেচের জন্য ৯ এবং কুটিরশিল্পের জন্য মোটে ৪ শতাংশ বরাদ্দ করা হল। মোট বরাদ্দ কত? আগের বার ছিল ২০৬৯ কোটি, এইবারে তা বাড়িয়ে করা হল ৪৬০০ কোটি।
এই পরিকল্পনায় জাতীয় আয় বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫ শতাংশ (1955-56 তে 10,800 কোটি থেকে 1960-61 এ 13,480 কোটি)। কিন্তু এটা তো বাড়াবাড়ি টার্গেট, কাজেই ২০ শতাংশের বেশি আয় বাড়ানো গেল না। মাথাপিছু আয় তো মোটে ৮ শতাংশ বাড়ল, তাহলে বাকি ১২ শতাংশ কোথায় গেল। ওই যে ডজন ডজন প্যায়দা করেছ, ওইগুলো আয়ের গুড় খেয়ে নিয়েছিল।
এ ছাড়াও আমদানি প্রচুর বেড়েছিল এবং রপ্তানি বলে তখনও সেরকম কিছু ছিল না। কুটির শিল্পও সেইরকম প্রাধান্য পায়নি কারণ গান্ধীজি তো তখন আর বেঁচে নেই। আর ন৳তুন নতুন শিল্প তৈরি হয়েছে, দেশের লোক উৎপাদনের ভাগ নেবে না বিদেশে পাচার করবে? কাজেই দেশের মুদ্রার ওপর চাপ বাড়তে লাগল। প্রয়োজন দেখা দিল মুদ্রা অবমূল্যায়নের।

Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website