Concepts of Indian Polity পলিটির কন্সেপ্ট— Parliamentary Committees
By Dipayan Ganguly, WBCS Gr A
Parliament এ আইনসভার কাজ তো প্রচুর। তাই সবকিছু তাদের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। এই কারণে নানারকম committee গঠন করা হয় যারা আইনসভার কাজ খানিকটা হাল্কা করে দেয়, অনেকটা গৃহ শিক্ষকের মতন। এরা Executive দের কাজকর্ম দেখাশোনা করে যেমন প্রাইভেট টিউটরেরা ছাত্রের বাবা মা এর ওপর থেকে ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ভার
অনেকটা নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়।
এই কমিটি মূলত দুই প্রকার—
Standing committee এবং Ad hoc Committee
Standing committee— নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে এরা একপ্রকার স্থিতিশীল। প্রতিনিয়ত এবং পর্যায়ক্রমে এদের নিয়োগ করা হয় পার্লামেন্টের সদস্যদের থেকে। এই কমিটির আওতায় পড়ে Financial Standing Committee, Department related Standing Committee এবং Other Standing Committee
এর মধ্যে Financial Standing Committee হল তিনটি—
১)Public Accounts Committee
২) Estimates Committee
৩) Committee on Public Undertakings
Department related Standing Committee — এখনও অবধি ২৪ টি Department related Standing Committee রয়েছে। এদের প্রত্যেকটি কমিটির সদস্য সংখ্যা ৩১, যার মধ্যে লোকসভার সদস্য সংখ্যা ২১ এবং রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা ১০। যেহেতু লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট সদস্যের অনুপাত কমবেশি 2:1, এই অনুপাতের ভিত্তিতেই এই সদস্যসংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কমিটিগুলির আওতায় রয়েছে Commerce ,
Industry, Human Resource Development, Defence ইত্যাদি বিষয়গুলি।
Other Standing Committees— এখনও পর্যন্ত ১৬ টি এইরকম কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে Business Advisory Committee, Committee on Empowerment of Women, Committee on Petitions ইত্যাদি।
Ad hoc Committees
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে- এই গুলি প্রয়োজন অনুযায়ী গঠন করা হয় এবং প্রয়োজন ফুরোলেই মিটিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ — কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরোলেই___
স্বাধীনতার আগে রাওলাট কমিটির কথা মনে পড়ে? এটিও একপ্রকার Ad hoc Committee ছিল। স্বাধীনতার পরে Balwant rai Mehta Committee, Ashok Mehta Committee, Narsimhan Committee, Sachar Committee — এই সবকটি ছিল উল্লেখযোগ্য Ad hoc Committee
এই কমিটিগুলি নিয়ে ভবিষ্যতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
পলিটির কন্সেপ্ট— Financial Standing Committee
গতদিন বলেছিলাম যে এই Financial Standing Committee তিন প্রকার—
১)Public Accounts Committee
২)Estimates Committee
৩)Committee on Public Undertakings
Public Accounts Committee
পার্লামেন্টের এই কমিটি ভারত সরকারের সমস্ত আয় ও ব্যয়ের হিসাবের নিরীক্ষা করে। ফি বছর পার্লামেন্টের বড়জোর ২২ জন সদস্য, যার মধ্যে ১৫ জন লোকসভা ও ৭ জন রাজ্যসভার কেষ্টবিষ্টুরা থাকবেন। সদস্যসংখ্যার এই অনুপাত 2:1 কেন হয় তা গতবারের পোস্টেই আলোচনা করেছি।
তা এই কমিটি কতদিনের জন্য গঠন হয়? ১ বছর। পাঁচ বছর নয় কেন? এটা তোমরা মাথা খাটিয়ে বল।
এই কমিটির চেয়ারপার্সন কে নিয়োগ করেন লোকসভার স্পীকার, ১৯৬৭ থেকে বিরোধীপক্ষের একজনকে কমিটির মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয় যাতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সরকারের ভুল ত্রুটি ধরে ফেলতে পারে।
CAG যে অডিট রিপোর্ট পাঠায় তার চুলচেরা নিরীক্ষা করে এই কমিটি। কোনো গোয়েন্দার চাইতে কোনো অংশে কম নয়। ২ জি কেলেঙ্কারি মনে পড়ে?
Estimates Committee
আমরা জানি সরকার ফি বছর বাজেট পেশ করে। এই কমিটি সরকারের খরচের বরাদ্দ নিরীক্ষণ করে। অর্থাৎ সরকারের appropriation account এবং finance account এর খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে দেখে। বাজেটের বরাদ্দ সংক্রান্ত পলিসি গুলির কার্যদক্ষতাও বিচার করে এই কমিটির সদস্যরা।
এই কমিটিতে লোকসভা থেকে ৩০ জন সদস্য চয়ন করা হয় এবং স্পীকার এই কমিটির চেয়ারপার্সনকে নিয়োগ করেন। তবে রাজ্যসভা থেকে কোনো সদস্য থাকেন না। এটা কেন তোমরা বল দেখি।
Committee on Public Undertakings
আমরা জানি সরকার দ্বারা পরিচালিত অনেক কোম্পানি রয়েছে যাদের Public Sector Undertakings বা PSU বলে। যেহেতু সরকার এদের পেছনে টাকা ঢালছে , কাজেই এদের অডিট তো করবেই। Public Accounts Committee এর মতন এই কমিটিরও সদস্য সংখ্যা হয় ২২, যারা proportional representation এর মাধ্যমে নিযুক্ত হয়ে থাকেন।
এই কমিটি সেইসমস্ত কোম্পানিগুলি (যারা ১৯৫৬ সালের কোম্পানির আইন দ্বারা সংগঠিত) বছরের খাতাপত্র তো দেখেই এমনকি CAG এর রিপোর্টটিও খতিয়ে দেখে।
অর্থাৎ সরকারের টাকা যেখানে খাটানো হয় অথবা যেখান থেকে সরকার টাকা পায়, তার সবকিছুর নিরীক্ষা করা হয়। এমনকি খরচ করার আগে পর্যন্ত খুঁটিনাটি পরীক্ষা চলে।
Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website