Global Wind Patterns – ভূগোলের কন্সেপ্ট.
By Dipayan Ganguly, WBCS Gr A
বায়ু যখন কোনো নির্দিষ্ট দিকে বইতে থাকে, তখন তাকে বাতাস বলে। বাতাস যখন পশ্চিম থেকে পূর্বে বইতে থাকে তখন তাকে আমরা বলি westerlies, এর উল্টোটা যখন হয় তখন তাকে আমরা easterlies বলি।Continue Reading Global Wind Patterns – ভূগোলের কন্সেপ্ট.
এবারে প্রশ্ন বাতাস কেন বয়? কারণ হল চাপের তারতম্য। বাতাস সব সময় উচ্চচাপের অঞ্চল থেকে নিম্নচাপের এলাকার দিকে ধেয়ে আসে, আসলে চাপ কে বা আর নিতে চায়। তার মানে সব সময় চাপের হেরফের টাই কারণ? না, পৃথিবী তো ঘুরছে পশ্চিম থেকে পূর্বে, কাজেই এর মাধ্যাকর্ষণশক্তির প্রভাব তো বাতাসের ওপর পড়বেই। কিভাবে? উত্তর গোলার্ধে বাতাস বইতে গেলেই পৃথিবীর আবর্তনের জন্য একপ্রকার শক্তি সেই বাতাসকে ঘাড় ধরে ডানদিকে বেঁকিয়ে দেবে। অর্থাৎ যে বাতাস উত্তর মেরু থেকে বিষুবরেখার দিকে ধেয়ে আসবে, সেইগুলো পশ্চিমদিকে বেঁকে যাবে, এবং যে বাতাস বিষুবরেখা থেকে উত্তর মেরুর দিকে যাবে, সেইগুলো পূর্বদিকে বেঁকে যাবে। মৌসুমীকে মনে আছে? কেমন দক্ষিণদিক থেকে আসা মৌসুমী তার কোমর বেঁকিয়ে পূর্বদিকে এগিয়ে
Southwest Monsoon আখ্যা পেয়েছে?
এ তো গেল উত্তর গোলার্ধের কথা। তাহলে দক্ষিণ গোলার্ধে কি হবে? এর উল্টোটা হবে। বাতাসের ঘাড় ধরে বাঁদিকে বেঁকিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ দক্ষিণ মেরু থেকে বিষুবরেখার দিকে আসা বাতাস বেঁকে যাবে পশ্চিমে এবং বিষুবরেখা থেকে মেরুমুখী বাতাস বেঁকে যাবে পূর্বে।
তা এই ঘাড় বেঁকানোর আইনের কোনো বৈধ নাম আছে কি? আছে বটে। এর নাম হল Ferrel’s law এবং যে বিল থুড়ি বলের কারণে এই আইনটি তৈরি হয়েছে তার নাম Coriolis force। এটি পৃথিবীর আবর্তনের জন্য সৃষ্টি হওয়া centrifugal force এর ফল।
তা, এই Coriolis effect কি সর্বত্র সমান? না, কারণ পৃথিবীটা তো আর সমতল নয়। বিষুবরেখা অঞ্চলে পৃথিবীর পরিধি সবথেকে বেশি, তাই এখানে এই Coriolis force এর প্রভাব কমে শূণ্য হয়ে যায়। মেরু অঞ্চলে পরিধি প্রায় শূণ্য, কাজেই এই বল তার ক্ষমতা দেখিয়ে তাণ্ডব নেত্য করতে থাকে। এছাড়া বাতাস যত গোঁয়ার হবে, এই বলও তত গোবিন্দ হবে। অর্থাৎ বাতাস যত বেগে বইবে, এই বল তাকে তত বেঁকিয়ে দেবে।
Trade winds কাকে বলে?
Subtropical অঞ্চল হল উচ্চচাপের অঞ্চল। এই অঞ্চল থেকে ধেয়ে আসা বাতাসকে Trade winds বলে। উত্তর গোলার্ধে বিষুবরেখার নিম্নচাপ অঞ্চলে আসার সময় Coriolis force এর জন্য ডানদিকে অর্থাৎ দক্ষিণ-পশ্চিমে বেঁকে যায়। অর্থাৎ এদের দেখলে মনে হবে যে এরা উত্তর পূর্ব থেকে আসছে। এই কারণে এদের North—East Trade Winds ও বলা হয়। অনুরুপভাবে দক্ষিণ গোলার্ধে এদের South—East Trade winds বলা হয়। এই পোস্টের সাথে দেওয়া চিত্রটি দেখ।
এই Trade winds পৃথিবীর সবথেকে বাধ্য ছেলে থুড়ি বাতাস যাদের নিয়মানুবর্তিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠানো যায় না। এই কারণে নাবিকেরা এই বাতাসের সাহায্যে দিক নির্ণয় করত।
Hadley cell কি?
এটি হল এক ধরণের tropical atmospheric circulation যার দরুণ নিরক্ষীয় অঞ্চলে গরম বাতাস ১০-১৫ কিমি ওপর দিকে উঠে যায় এবং সেই বাতাস ৩০ ডিগ্রী উত্তর এবং দক্ষিণে নিচে নামতে থাকে।
এটা কেন হয়? কারণ নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূয্যিমামার তাপে আর্দ্র বাতাস গরম হয়ে উপরে উঠে যায়। প্রায় ১০-১৫ কিমি উপরে উঠে এই বাতাসের খেয়াল হয় যে সে দুদিকের মেরুর দিকে যাত্রা করবে। কিন্তু ৩০ ডিগ্রী উত্তর এবং দক্ষিণে এত চাপ থাকে যে তার সব শক্তি শেষ হয়ে যায়। এর ফলে সেই বাতাস হার স্বীকার করে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ফিরে আসে। কিন্তু নিরক্ষীয় অঞ্চলে এসে আবার সূর্যের তাপে এদের ঘ্যাম বেড়ে যায় এবং আবার এরা উপরে উঠে মেরুযাত্রার প্ল্যান করে। এইভাবে বার বার রবার্ট ব্রুসের মতন চক্রাকারে ০-৩০ এর মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। এই ঘুরপাক খাওয়ার জন্য এই যাত্রাপথকে বলে cell এবং George Hadley এর সম্মানার্থে এর নামকরণ হল Hadley cell ।
Please subscribe here to get all future updates on this post/page/category/website